পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাস (LPG price today) একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। রান্নার কাজে ব্যবহৃত এই গ্যাস সিলিন্ডারগুলি কেবলমাত্র ঘরোয়া ক্ষেত্রে নয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, সিলিন্ডার গ্যাস ছাড়া রান্নার কথা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সুবিধা এবং সুবিধাবঞ্চনার দিকও রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গে এটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে।
Cylinder Gas price
প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয়। এলপিজি মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে নিষ্কাশিত একটি সহজেই তরল রূপে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন জ্বালানি। সিলিন্ডারে এই গ্যাস সংরক্ষণ করা হয়, যা সহজেই বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা যায়। ভারতে ১৯৫৫ সালের দিকে এলপিজি গ্যাস প্রথম প্রচলিত হয় এবং ধীরে ধীরে এটি সাধারণ জনগণের ব্যবহারে চলে আসে।
সিলিন্ডার গ্যাসের আজকের দাম কত (2014 lpg price in India)
শহর | গার্হস্থ্য 14.2 কেজি | বাণিজ্যিক 19 কেজি |
আলিপুরদুয়ার | ₹ 856.50 ( 0.00 ) | ₹ 2,001.50 ( 8.50 ) |
বাঁকুড়া | ₹ 841.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,781.50 ( 8.00 ) |
বীরভূম | ₹ 860.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,816.00 ( 8.50 ) |
কোচবিহার | ₹ 856.50 ( 0.00 ) | ₹ 2,000.00 ( 8.50 ) |
দক্ষিণ দিনাজপুর | ₹ 901.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,927.50 ( 8.00 ) |
দার্জিলিং | ₹ 856.00 ( 0.00 ) | ₹ 2,013.50 ( 8.50 ) |
হুগলি | ₹ 832.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,771.50 ( 8.50 ) |
হাওড়া | ₹ 830.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,769.00 ( 8.00 ) |
জলপাইগুড়ি | ₹ 856.50 ( 0.00 ) | ₹ 2,005.00 ( 8.50 ) |
ঝাড়গ্রাম | ₹ 821.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,725.00 ( 8.00 ) |
কালিম্পং | ₹ 958.50 ( 0.00 ) | ₹ 2,163.50 ( 8.50 ) |
কলকাতা | ₹ 829.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,764.50 ( 8.50 ) |
মালদা | ₹ 900.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,922.50 ( 8.50 ) |
মুর্শিদাবাদ | ₹ 847.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,797.00 ( 8.50 ) |
নাদিয়া | ₹ 829.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,765.50 ( 8.50 ) |
উত্তর 24 পরগনা | ₹ 829.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,764.50 ( 8.50 ) |
পশ্চিম বর্ধমান | ₹ 842.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,783.00 ( 8.50 ) |
পশ্চিম মেদিনীপুর | ₹ 822.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,721.50 ( 8.50 ) |
পূর্ব বর্ধমান | ₹ 842.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,783.00 ( 8.50 ) |
পূর্ব মেদিনীপুর | ₹ 805.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,696.00 ( 8.50 ) |
পুরুলিয়া | ₹ 858.00 ( 0.00 ) | ₹ 1,807.00 ( 8.50 ) |
দক্ষিণ ২৪ পরগনা | ₹ 837.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,775.50 ( 8.50 ) |
উত্তর দিনাজপুর | ₹ 901.50 ( 0.00 ) | ₹ 1,927.50 ( 8.00 ) |
রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডার গ্যাসের প্রধান উপাদান কি
রান্নার কাজের জন্য সিলিন্ডার গ্যাস একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য পরিবার রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে থাকে, বিশেষ করে যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এই সিলিন্ডার গ্যাসের প্রধান উপাদান হল এলপিজি (LPG) বা লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস, যা রান্নার কাজের জন্য অন্যতম নিরাপদ ও কার্যকর জ্বালানি।

এলপিজি কি?
এলপিজি বা লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস হল একটি পেট্রোলিয়াম-জাতীয় জ্বালানি যা সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাস ও ক্রুড অয়েল থেকে প্রাপ্ত হয়। এই গ্যাসের প্রধান উপাদান হল প্রোপেন (C3H8) এবং বিউটেন (C4H10)। এলপিজি অত্যন্ত দাহ্য এবং এটি তরল আকারে সংরক্ষণ করা হয়, তবে ব্যবহারের সময় এটি গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। এলপিজি একটি পরিচ্ছন্ন, কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি যা কম সময়ে তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা রান্নার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
এলপিজি গ্যাসের প্রধান উপাদান দুটি: প্রোপেন এবং বিউটেন। তবে এলপিজির মধ্যে অন্যান্য উপাদানও মিশ্রিত থাকতে পারে যা এলপিজির গুণমান, জ্বলন ক্ষমতা এবং নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলে।
- প্রোপেন (Propane):
প্রোপেন একটি হাইড্রোকার্বন যা সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম রিফাইনিং প্রক্রিয়া থেকে উৎপন্ন হয়। এটি -৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তরল অবস্থায় থাকে এবং সহজেই গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। প্রোপেনের দহন ক্ষমতা বেশি এবং এটি উচ্চ তাপমাত্রা উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা রান্নার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ সরবরাহ করে। - বিউটেন (Butane):
বিউটেনও একটি হাইড্রোকার্বন যা প্রোপেনের মতোই প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ক্রুড অয়েল থেকে প্রাপ্ত হয়। এটি সাধারণত ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রোপেনের সাথে মিশ্রিত হয় কারণ বিউটেনের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট কম, যা ঠান্ডা পরিবেশে কার্যকর জ্বলন নিশ্চিত করে। বিউটেনের দহন ক্ষমতা প্রোপেনের তুলনায় কিছুটা কম হলেও এটি এলপিজির উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। - মিথাইলমার্ক্যাপটান (Methyl Mercaptan):
এলপিজির সাথে মিথাইলমার্ক্যাপটান নামক একটি রাসায়নিক যোগ করা হয় যা গ্যাসের সাথে মিশ্রিত করে গ্যাসের গন্ধ তৈরি করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে এলপিজি গন্ধহীন, তাই এই রাসায়নিকটি যোগ করা হয় যাতে গ্যাস লিক হলে সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

রান্নার জন্য এলপিজির উপযোগিতা
এলপিজি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহৃত অন্যতম নিরাপদ ও কার্যকর জ্বালানি। এর কারণগুলি হলো:
- দ্রুত তাপ উৎপাদন:
এলপিজি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা রান্নার সময় সাশ্রয় করে। এই গ্যাস সহজেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারে, ফলে রান্নার কাজ আরও সহজ হয়। - পরিবেশবান্ধব:
এলপিজি একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি যা দহনকালে কম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। এতে রান্নার সময় পরিবেশ দূষণ কম হয়, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। - বহনযোগ্য ও সহজলভ্য:
এলপিজি সিলিন্ডার বহনযোগ্য হওয়ার কারণে সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। এটি এমন জায়গাগুলোতে খুবই উপযোগী যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ নেই।
যদিও এলপিজি গ্যাস রান্নার জন্য অত্যন্ত কার্যকর, তবে এটি ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন:
- গ্যাস লিক হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন:
যদি গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়, তবে সাথে সাথে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে জানালা খুলে বাতাস প্রবাহিত করুন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে দূরে থাকুন। - সঠিক সংযোগ ও রক্ষণাবেক্ষণ:
সিলিন্ডার ও গ্যাস সংযোগ সঠিকভাবে সিল করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। সিলিন্ডার এবং চুলার মধ্যে সংযোগের নল নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন। - আগ্নেয়ত্র ক্রিয়াশীলতা:
রান্নার সময় চুলার কাছে অগ্নি সংক্রান্ত কোন ঝুঁকি আছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। এলপিজি গ্যাস দাহ্য হওয়ায় অগ্নি সংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডার গ্যাসের প্রধান উপাদান এলপিজি, যা প্রোপেন ও বিউটেনের সমন্বয়ে গঠিত। এলপিজি রান্নার জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ জ্বালানি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে এর ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে এলপিজি গ্যাস একটি দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিনের রান্নার কাজে অবদান রাখতে পারে।

রান্নার কাজে সিলিন্ডার গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা
সিলিন্ডার গ্যাস রান্নার ক্ষেত্রে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এতে গ্যাসের শিখা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ, ফলে খাদ্য প্রস্তুত দ্রুত এবং সঠিকভাবে করা সম্ভব। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে সিলিন্ডার গ্যাসের উপর নির্ভরতা অনেক বেশি, কারণ বিদ্যুৎ সংযোগ সেখানে সবসময় নিরবচ্ছিন্ন থাকে না। তাছাড়া, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করলে ধোঁয়া হয় না, যা পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
রান্নার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্যাটারিং সার্ভিস, এবং অন্যান্য খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাধিক চুলা একসাথে পরিচালনা করা যায়, যা তাদের কাজকে দ্রুত এবং কার্যকর করে তোলে। ফলে, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সিলিন্ডার গ্যাস অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারে নিরাপত্তা একটি বড়ো বিষয়। সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে এটি নিরাপদ, তবে অসাবধানতার ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। গ্যাস লিকেজ বা অন্য কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য সময়মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা মানুষকে সচেতন করে তুলছে।
বর্তমান সিলিন্ডার গ্যাসের দাম
পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে, যা সাধারণ মানুষের ব্যয়ভার বৃদ্ধি করছে। তবে, সরকারি সহায়তা এবং ভর্তুকির মাধ্যমে এই ব্যয় কিছুটা কমানো সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি, সিলিন্ডার গ্যাসের মাধ্যমে তৈরি হওয়া নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও উল্লেখযোগ্য।
সিলিন্ডার গ্যাস একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে পরিচিত। এটি ব্যবহারে ধোঁয়া বা অন্যান্য দূষণ সৃষ্টিকারী পদার্থের নির্গমন হয় না, যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক। তবে, গ্যাস সিলিন্ডারের উৎপাদন ও পরিবহন প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে যাতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায়।
সরকারি উদ্যোগ ও সহায়তা
পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এর মধ্যে অন্যতম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও গ্রামীণ অঞ্চলের পরিবারগুলির মধ্যে সিলিন্ডার গ্যাস বিতরণ করা হচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সহজে সিলিন্ডার গ্যাসের সুবিধা পাচ্ছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।
সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বিশেষ করে, মহিলাদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আগেকার দিনে মহিলারা চুল্লি বা কাঠের আগুনে রান্না করতেন, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং স্বাস্থ্যহানিকর। সিলিন্ডার গ্যাসের মাধ্যমে রান্নার সময় কমেছে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে, মহিলাদের কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিলিন্ডার গ্যাসের চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, বিকল্প জ্বালানি উৎসের খোঁজও চলছে, যা সিলিন্ডার গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারে। তবে, পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাস এখনও অপরিহার্য এবং এর গুরুত্ব অমলিন থাকবে।
সিলিন্ডার গ্যাস কী?
সিলিন্ডার গ্যাস হলো এক ধরনের তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস, যা উচ্চ চাপে তরল করে সিলিন্ডারে ভরে রাখা হয়। রান্নাবান্না, গরম জল তৈরি এবং অন্যান্য কাজে এই গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
সিলিন্ডার গ্যাসের প্রকারভেদ?
সিলিন্ডার গ্যাস মূলত দুই প্রকার:
এলপি গ্যাস (LPG): এটিই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিলিন্ডার গ্যাস। এতে প্রধানত প্রোপেন এবং বাটেন গ্যাস থাকে।
ন্যাচারাল গ্যাস: এই গ্যাস মূলত মিথেন গ্যাস দিয়ে তৈরি। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাধারণত পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
সিলিন্ডার গ্যাস কেন ব্যবহার করা হয়?
সুবিধাজনক: সিলিন্ডার গ্যাস সহজে পরিবহন এবং সংরক্ষণ করা যায়।
দক্ষতা: এটি খুব কম সময়েই রান্নাবান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন করে।
সস্তা: অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় সিলিন্ডার গ্যাস সাধারণত সস্তা।
সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের সময় কোন সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
গ্যাস লিকেজ: নিয়মিত গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করা উচিত। গ্যাসের গন্ধ পেলে বা লিকেজ হলে সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের সাপ্লাই বন্ধ করে দিতে হবে।
জ্বলন্ত বস্তু: গ্যাস চুলা জ্বালানোর সময় আশেপাশে কোনো জ্বলন্ত বস্তু রাখা উচিত নয়।
ভালভ: ব্যবহারের পর সবসময় গ্যাসের ভালভ বন্ধ করে রাখতে হবে।
সিলিন্ডার সরানো: সিলিন্ডার সরানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সিলিন্ডার গ্যাসের বিকল্প কি কি?
বিদ্যুৎ: বিদ্যুৎ চুলা ব্যবহার করে রান্নাবান্না করা যায়।
সৌরশক্তি: সৌর চুলা ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধবভাবে রান্নাবান্না করা যায়।
বায়োগ্যাস: গোবর গ্যাস থেকে উৎপন্ন বায়োগ্যাস ব্যবহার করা যায়।
উপসংহার
পশ্চিমবঙ্গে সিলিন্ডার গ্যাস শুধুমাত্র রান্নার একটি মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং পরিবেশগত পরিবর্তনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সরকারি উদ্যোগ, বাণিজ্যিক ক্ষেত্র এবং সাধারণ মানুষের জীবনে সিলিন্ডার গ্যাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও বাড়বে এবং এর ব্যবহারে নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হবে। অন্যান্য বিষয়ে সঠিক তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের হোয়াটসয়াপ চ্যানেল এ যুক্ত হোন।